আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২১ জুন: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললো বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক। বিদ্যালয়ের ছাত্রের ট্রান্সফার সার্কিফিকেট নিতে এসে এমনই অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল করলো এক ছাত্রের দিদি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের সোনাউল্লা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিভাবক ও সোস্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় ও সাইবার থানায় অভিযোগ জানাল।
সোস্যাল মিডিয়ায় শহরের বাসিন্দা অর্পিতা ঘোষ অভিযোগ তোলেন কম নম্বর থাকার পরেও অনিয়ম করে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে ছাত্রদের। কিন্তু তার ভাইকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। প্রতিবাদ করাতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় স্কুলের তরফে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, ভাইরাল ভিডিওতে মিথ্যা প্রচার করে বিদ্যালয়কে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার বৈঠকে বসে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি।
কমিটির সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “মহিলার অভিযোগ মিথ্যে। তবে তার ভিডিও বিদ্যালয়কে
কালিমালিপ্তের পাশাপাশি শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সম্মানহানি করেছে। যে কারণে গত কাল বিকেলেই কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আজ নতুন করে সাইবার থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনির্বাণ সেন বলেন, “ওই যুবতীর এসেছিলেন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য। তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। সেটা না করে ক্লাস চলাকালীন সে ক্লাসের সামনে এসে চিৎকার করে ভিডিও করতে থাকেন। তিনি যে অভিযোগ তুলছেন তা সঠিক নয়। ভর্তির জন্য দুটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার পরেও বিদ্যালয়ে পড়তো এমন ছাত্র অন্য জায়গায় ভর্তি না হতে পারলে তাদের ভর্তি নেওয়া হয় যতদিন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু মহিলা ভিডিয়ো করে মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।”