সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৩ ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বাগদার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের বৈরামপুর পঞ্চায়েত প্রধানের দোতলা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রী তনুজা খাতুন মোল্লা সহ তার আত্মীয়দের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়৷ এই নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বহু গরিব মানুষের নাম নেই আবাস যোজনা তালিকায় অথচ প্রধান সহ তার আত্মীয় পরিজনদের নাম রয়েছে৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালনগর বৈরামপুর পঞ্চায়েত প্রধান হায়দার আলী মোল্লা।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আইলা ও আমফানের পর থেকে বৈরামপুর এলাকায় প্রচুর পরিবার ত্রিপল বা টিনের চালা করে বসবাস করছে। বারবার ঘরের জন্য পঞ্চায়েতে দরবার করলেও ঘর দেওয়া হয়নি। অথচ প্রধানের দোতলা বাড়ি থাকতেও তাঁর স্ত্রীর নাম ঘরের তালিকায় আছে। প্রধান হায়দার আলী মন্ডল বেছে বেছে নিজের পরিবার সহ আত্মীয় ও তৃণমূল নেতা কর্মীদের নাম দিয়েছে ঘরের তালিকায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান হায়দার আলী মোল্লা বলেন, ভুলবশত কিছু নাম উঠে থাকতে পারে, সব কেটে দেওয়া হয়েছে৷ আমার স্ত্রী তনুজা খাতুন ও তাঁর স্বামী হায়দার নামে আরও একজন পরিবার আছে এই গ্রামে।
যদিও বিজেপি নেতা সৌমেন সরকার বলেন, ওই নামে কোনো পরিবার এই পঞ্চায়েতে নেই। তদন্ত করে দেখলে প্রমাণ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে গোপালনগরের আকাইপুর পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম নেই, তাই যারা প্রকৃত অর্থে ঘর পাওয়ার যোগ্য সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতের গ্রামসভা চলাকালীন ঘর না পেয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভ পঞ্চায়েত অফিসে। মোতায়েন প্রচুর পুলিশ কর্মী। নামের তালিকার বোর্ড ঝোলানোর আগেই উত্তেজনা। এদিনের গ্রাম সভায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতের সমস্ত আধিকারিক সহ বিডিও ও পুলিশ কর্মীরা।