রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ ডিসেম্বর: গোটা একটা বছর সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কে থাকার পর বছর শেষে ধীরে ধীরে করোনা মুক্তির আশায় দিন গুনছিলেন সকলে। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকেই সেই সুসংবাদ পাল্টে গিয়েছে ফের দুঃসংবাদে। কিছুদিন আগে খবরে প্রকাশ হয়েছিল, ব্রিটেন ফেরত ৬ জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে নতুন প্রকারের করোনা ভাইরাস। আর এবার দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠানোর পর নিশ্চিত হল, কলকাতা বিমানবন্দরে ফেরা লন্ডন ফেরত এক যুবকের দেহে পাওয়া গিয়েছে ওই নতুন প্রকারের করোনা ভাইরাস।
সূত্রের খবর, সদ্য লন্ডন ফেরত কলকাতার এক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের ছেলের শরীরে নতুন স্ট্রেন মিলেছে। এই খবর স্বীকার করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, ওই যুবকের সংস্পর্শে এসেছেন ৫৯০ জন। এই নিয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে রাজ্যকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের ৯ তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই যুবক। তার করোনা রিপোর্ট নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকায় তা পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে। সেখান থেকেই এই নয়া স্ট্রেনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকি করোনা রোগীদের থেকেও তাঁদের একবারের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যে আক্রান্তের সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, ওই যুবক গত ১৫ দিনে অন্তত ৫৯০ জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এবার প্রয়োজনে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হতে পারে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। সূত্রের দাবি, করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এর মৃত্যুহার বেশি না হলেও সংক্রমণ হার অনেকটাই বেশি। মঙ্গলবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে মেইল করে জানানো হয়, বাংলার এক তরুণের দেহে করোনার নয়া স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। তাই এবার এই রাজ্যকে ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মানতে হবে। এ নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লব আগরওয়াল। বুধবার এই নিয়ে বৈঠকে বসে প্রয়োজন হলে ফের নয়া করোনা যুদ্ধের জন্য কন্টাক্ট ট্রেসিং ব্লু প্রিন্ট চূড়ান্ত করেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।