আমাদের ভারত, ৩ ডিসেম্বর:ডিসেম্বরের শেষেই কোনও একটি করোনার ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিতে পারে সরকার, বলে আশাবাদী এইমসের ডিরেক্টর রনদীপ গুলেরিয়া। এই মাসের শেষে কিংবা জানুয়ারি মাসের প্রথমে জরুরী ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য কোনও একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
বেশ কয়েকটি কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল’ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাক্সিন রাখার পরিকাঠামো তৈরি করা এবং ভ্যাকসিন বিতরণের পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন। কিন্তু ভ্যাক্সিন কবে আসবে তা নিয়ে সঠিকভাবে সেদিনও কিছু বলেননি তিনি।
কিন্তু দিল্লির এইমসের ডিরেক্টর বৃহস্পতিবার বলেন, চলতি মাসের শেষে অথবা জানুয়ারি মাসের প্রথমেই যেকোনো একটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। এইমসের ডিরেক্টর বলেন একরকম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনার ভ্যাক্সিন তৈরি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকেরা। কাজ চলছে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের ভ্যাকসিন বিতরণ সহ মজুদ করা এবং গোডাউন তৈরির।
এদিকে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। সেক্ষেত্রে গুলেরিয়া বলেন, বহু পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হয়েছে ভ্যাক্সিন নিরাপদ। মানুষের নিরাপত্তা সঙ্গে কোনো রকম আপস করা হবে না। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের ৭০ থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া খবর মেলেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক অভিযোগ করেছিলেন ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর তার স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যার শুরু হয়েছে। আর তা ঠিক করার জন্য তাকে দীর্ঘ চিকিৎসা করতে হবে। এর জন্য তিনি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।এরপর পাল্টা ওই স্বেচ্ছাসেবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে সেরাম। এই একটি ঘটনা ছাড়া আর কোন রকম বিরূপ অভিযোগ এখনো পর্যন্ত ওঠেননি ভ্যাকসিন নিয়ে।