আমাদের ভারত, ৩ জানুয়ারি: ভারতে অনুমোদন পাওয়া দুটি টিকায় ১১০% নিরাপদ ও সুরক্ষিত বলে আশ্বস্ত করলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ভিজি সোমানি। জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত দুটি টিকা নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেছেন ডিসিজিআই। তিনি জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে দুটি টিকাই অত্যন্ত কার্যকরী।
অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা ভারতে উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। এই দুটি টিকাকেই জরুরী ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এই টিকা কতটা নিরাপদ?কংগ্রেস নেতা শশী থারুর টুইট করে লিখেছেন, কো-ভ্যাক্সিন এখনো পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তড়িঘড়ি এই অনুমোদন বিপদজনক। ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার আগে এটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত বলেই তাঁর দাবি।
কিন্তু সোমানির দাবি, “নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় বা প্রশ্ন থাকলে আমরা অনুমোদন দিতাম না।” করোনা মোকাবিলায় দুটো ভ্যাক্সিনই ১১০% নিরাপদ বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। হালকা জ্বর, গা হাত পা ব্যথা, এলার্জির মতো উপসর্গ যেকোনো টিকাতেই হতে পারে। তাই অযথা এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই টিকার কার্যকরিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সেরামের কোভিশিল্ড ভারতের দ্বিতীয় তৃতীয় ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে ১৬০০ জনের ওপর। এর ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ৭০.৪২ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে এই টিকা। অন্যদিকে ভারত বায়টেকের কোভ্যাকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছে ৮০০ জন। তাদের শরীরের শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তৃতীয় পর্যায়ে ২২৫০০ জনকে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। দুটি টিকাই সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত।
অন্যদিকে এই টিকা প্রস্তুতকারী উভয় সংস্থাটি জানিয়েছে টিকার দুটি করেডোজ নিতে হবে। এই দুটি টিকায় ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যাবে। এই দুটি টিকা ছাড়া অন্যান্য টিকাগুলির খুঁটিনাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। ফলে সেগুলোকেও ভবিষ্যতে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।