আমাদের ভারত, ২৪ নভেম্বর:প্রথমবার টিকাকরণের পর কম করে নয় মাস করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে বলে জানালেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্সের ডিরেক্টর রনদীপ গুলেরিয়া। আর শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ তৈরি হলে টিকার প্রভাব এক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে বলে তার মত। এই পর্যায়ে ভাইরাস এত দ্রুত সংখ্যায় ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করবে।কমবে সংক্রমণ ছড়ানোর হার।
আগামী বছরের গোড়ায় বেশ কয়েকটি কোভিড১৯ ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফাইজার ও মর্ডানা চলতি বছরের শেষেই বাজারে আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে টিকা বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছে অক্সফোর্ড। আগামী বছরের গোড়ায় ভারতের সেরাম টিকা আনতে পারে। ভারতের বায়োটেকের কোভ্যাকসিন আসতে পারে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে।
গুলারিয়া বলেছেন টিকাকরণ শুরু হলেই ভাইরাসের দাপট কমতে থাকবে।ইমিউনিটি তৈরি হতে শুরু করবে মানুষের শরীরে। সমাজের একটা বড় অংশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে শুরু হবে। আর এর ফলে ভাইরাস বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। তবে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যাকে টিকা দিতে ২২ সাল হয়ে যাবে বলে ধারণা তার।
তিনি বলেছেন করোনা ভাইরাস থেকে এখনই রেহাই মিলবে না। তবে টিকা দেওয়া শুরু হলে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াবার ক্ষমতা কমবে। রোগের জটিলতার আশঙ্কা কমবে। আর পাঁচটা সংক্রামক রোগের মত করোনা আরো দু’বছর থাকবে। বিশ্বের সব করোনা আক্রান্ত দেশগুলোতে টিকার বিতরণ ঠিকঠাক হলে ২০২৩ সালে এই মহামারী কমতে শুরু করবে। ওই বছরই হয়তো অতি মহামারীর ইতি ঘোষণা করা যাবে।
গুলেরিয়া বলেছেন, প্রথম দিকে দেখা গেছিল শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তিন মাসের বেশি থাকছে না। কারো কারো ক্ষেত্রে আরও কম ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব প্রায় সাত মাস। অর্থাৎ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি আস্তে আস্তে তৈরি হচ্ছে। আর সেই জন্যই আমরা আশা করছি টিকার প্রভাবে নয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।