আমাদের ভারত,৪ মে:করোনা ত্রাসে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। এই মুহূর্তে মারন ভাইরাসের সবচেয়ে বড় থাবা পড়েছে আমেরিকায়। প্রতি দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা যেমন হু হু অরে বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তার মধ্যে আরো বড় আশঙ্কার কথা শোনালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি আগামী ২ বছর নিজের খেলা দেখাবে করোনা। উপসর্গহীনদের মাধ্যমেই ছড়াবে সংক্রমণ।
মিনোসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনফেকশন ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের ফলে এই মহামারী শেষ হতে দু বছর সময় লাগতে পারে। সারা বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্তএই মহামারী কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসবে না। এই একই আভাস দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, যাদের আপাত দেখে মনে হতে পারে তারা সুস্থ, সেইসব মানুষও এই ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ সেইসব মানুষ যারা আক্রান্ত হলেও একেবারে উপসর্গহীন, তাদের মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। ভারতে এমন বহু রোগীর সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া গেছে যাদের করোনার কোনো উপসর্গই ছিলনা।
গবেষকরা বলছেন অন্য যেকোনো ফ্লুয়ের তুলনায়
করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন। যখন বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে তখনই এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
তাই পৃথিবীর সমস্ত দেশের সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের বার্তা, এই মহামারী এখনই শেষ হচ্ছে না তাই সরকারকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে রাখতে হবে। এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। আরো দু’বছর এই ভাইরাস তার খেলা দেখাবে।
১৯১৮ সালের মহামারী আকার ধারণ করা স্প্যানিশ ফ্লুয়ের সঙ্গে এই করোনা ভাইরাসের কিছুটা মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এর আগেও হাবার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও বলেছিলেন করোনা কে কাবু করতে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে হতে পারে ২০২২ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দু বছর।
গবেষকরা বলছেন লকডাউনের মাধ্যমে করোনাকে কাবু করা অসম্ভব। দীর্ঘদিন সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় না রাখলে আরো বাড়তে পারে সংক্রমণ। গবেষকরা দাবি করেছেনলকডাউন উঠে গেলেও সোশ্যাল ডিসটেন্সের নিয়ম শিথিল করে ফেললে বিপদ বারবে। এমনকি সংক্রমণে লাগাম টানা অসম্ভব হতে পারে। তাই সব দেশে সোশ্যাল ডিসটেন্সকে কঠোরভাবে পালন করার প্রবণতা তৈরি করতেই হবে এই ভাইরাস মোকাবিলায়।