আমাদের ভারত, ১৩ এপ্রিল : আগামী এক সপ্তাহ পর থেকে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করবে। এমনটাই জানাচ্ছে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট। মিশিগান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ব্রহ্মহর মুখার্জির তত্ত্বাবধানে করা একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। আর সেখানেই আশার আলো দেখা গেছে। এস আই আর মডেল অনুসরণ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষা ধাপগুলি হল সাসপেক্টবেল, ইনফেক্টেড, রিমুভড।
গবেষণার রিপোর্টে গবেষকরা বলছেন লাভ ডাউনে মানুষ যদি প্রশাসনের কথা মেনে বাড়ি থেকে বাইরে না বেরোয় এবং এলাকা সিল করে দেওয়ার সংখ্যা যদি সুষ্ঠুভাবে বৃদ্ধি হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি যদি সঠিক পদ্ধতিতে মানা হয় তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৩০ এপ্রিল বা ১ মে পর্যন্ত লকডাউন এর সময়সীমা বাড়িয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী দেওয়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এর চূড়ান্ত ঘোষণা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে বলেই আশাবাদী সমীক্ষকরা।
মিশিগান ইউনিভার্সিটি ছাড়াও জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি সহকারি অধ্যাপক দেবশ্রী রায় বলছেন, লকডাউন এখনো পর্যন্ত গুরুত্বসহকারে মানা হচ্ছে না অনেক জায়গায়। যদি তা মানা হয় ও এই সময়সীমা বাড়ানো হয় তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে সমস্ত গবেষকরা এই সামাজিক দূরত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।এই পদ্ধতির না মানলে লোকজনের কোনো লাভ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে দেশ থেকে করোনা পুরোপুরি মুক্ত করতে ১ জুন পর্যন্ত লকডাউন এর পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এখনই লকডাউন যাতে তোলা না হয় তার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ মার্চ থেকে করোনা মহামারী আটকাতে শুরু হয়েছিল লকডাউন। আশা করা যাচ্ছিল ২১ দিনের লক ডাউনে কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে। কিন্তু তা হয়নি সার্বিক ভাবে। দেশে ক্রমেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই জন্যেই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পথেই হেঁটেছে অনেক কটি রাজ্য।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। যদি তার না হতো তাহলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে যেত এই মুহূর্তে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগারওয়াল জানিয়েছেন করোনা মোকাবেলায় সঠিক পথেই রয়েছে ভারত।