আমাদের ভারত, ৬ সেপ্টেম্বর: দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েব। আগামী বছরেও থাকবে করোনার সংক্রমনের দাপট। হ্যাঁ এমনি দুটো বড় আশঙ্কা করেছেন এইমসের ডিরেক্টর। তবে তার কাছে সবচেয়ে বড় আশার আলো ভ্যাকসিন আসছে। সব ঠিকঠাক চললে এই বছরের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতেই ভারতের হাতে আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন।
প্রতিদিনই নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে সংক্রমনের গ্রাফ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থানে। তার মাঝে আরও বড় আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর রন্দীপ গুলেরিয়া। তার অনুমান এতো তাড়াতাড়ি করোনা থেকে নিস্তার পাবে না ভারতবাসী। করোনার দাপট থাকব ২০২১-প্রথম কয়েক মাস। তার আশঙ্কা শুধু এখানেই শেষ নয় দিল্লিসহ বিভিন্ন প্রান্তে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ দেখা দিয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কিন্তু কেন এই করোনার হানা? বিশেষজ্ঞদের মতে ১৩৪ কোটি জনসংখ্যার দেশে এই সংক্রমণ আটকে রাখা সহজ নয়। তবে প্রতিদিনই করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ছে আর তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু বড় শহর নয় প্রত্যন্ত ছোট শহর ও গ্রামেও ছাড়াচ্ছে সংক্রমণ। অসচেতনতার জন্যেও সংক্রমণকে নিমন্ত্রণ করে আনছেন অনেকে।
তবে ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী এইমসের ডিরেক্টর। ভারতে তিনটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের চলছে। তার মতে এখন ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতের চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লক্ষ পেরিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৬৬৬জন। বিশ্বে সংক্রমণে নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এক সপ্তাহ আগে দৈনিক সংক্রমণ ৫০-৬০ হাজারের মধ্যে ছিল। গত সপ্তাহে তা প্রায় ৭০ হাজারের পেরোয়। আপাতত দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬২ হাজার ৩২০। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০৬৫ জনের। এখনো পর্যন্ত করণায় সুস্থ হয়েছেন ৩১লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ।

