আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৫ মে: কাকদ্বীপ, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, সোনারপুরের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে মিলল করোনা আক্রান্তের হদিশ। বারুইপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বৈষ্ণব পাড়ার এক বাসিন্দার লালারস পরীক্ষার পর তার শরীরে কোভিড ১৯ ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। কলকাতার সল্টলেকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি চিকিৎসাধীন। সোমবার বিকালে এই রিপোর্ট আসার পরেই পরিবারের বাকি ৬ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বারুইপুর শহরের বুকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এদিন সকালেই ঐ ব্যক্তির বাড়ির সাথেই থাকা তার জেরস্ক ও স্টেশনারি দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে। সুত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ৭২ বছরের ঐ ব্যক্তি। চেস্টে ইনফেকশানও হয়েছিল তার। প্রথমে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে সল্টলেকের ঐ নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। বারুইপুরের করোনা আক্রান্তের খবর আসার পর মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস সহ অন্য পুরপিতারা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় পরিদর্শনে যান। এলাকার লকগেটও সিল করার নির্দেশ দেন তারা। তারপরেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই এলাকায় ঢোকার পথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পুরোপুরি ভাবে বাসিন্দাদের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়। ওই এলাকায় প্রবেশের ৬-৮ টি পথ পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে। পাশাপাশি বারুইপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরবাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তুলে দেওয়া হয়েছে শাসন স্টেশন সংলগ্ন বাজারও। নির্দেশ জারি হয়েছে বারুইপুরের কাছারি বাজার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানও সকাল ৯টা পর্যন্ত খোলার নির্দেশ জারি হয়েছে। বারুইপুর পুরসভার পক্ষ থেকে আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়ি সহ পুরো এলাকা মঙ্গলবার সকাল থেকেই জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে দফায় দফায়।
পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা ওই এলাকা সিল করে দিয়েছি। নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির দিকে”। এলাকার মানুষের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে বলে পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে।