আমাদের ভারত, ১০ জুন: লক ডাউন পর্ব শেষ হয়ে শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান পর্ব। আনলক ওয়ান শুরু হতেই দেখা গেছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড তৈরি করে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনায় আক্রান্ত ২ লক্ষ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুও সাড়ে সাত হাজারের সংখ্যা ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশে আবার লকডাউন নিয়ন্ত্রণ লাগু হতে পারে বলে মনে করছে সিকিউরিটিজ রিসার্চ ফার্ম নমুরা নামে একটি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট। করোনা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকি বহুল ১৫টি দেশের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ভারত বলে জানানো হয়েছে ওই সংস্থার রিপোর্টে।
এই সংস্থাটির সমীক্ষা করে তৈরি করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকি বহুল ১৫টি দেশের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ভারত।
নমুরা সার্ভে করেছে বিশ্বের ৪৫ টি বড় অর্থনীতির দেশগুলোর ওপর। লকডাউন তোলার পর করোনা আক্রান্ত কতটা হারে বাড়ছে তার উপর এই চালানো হয়েছে সমীক্ষা। রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন তথা প্রবল ঝুঁকিপ্রবণ এইরকম দেশের তালিকার প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারত।
তবে এই সমীক্ষার রিপোর্টে মিশ্র ফলাফল এসেছে। অর্থনীতির বড় অংশ খুলে গেছে এমন ১৭টি দেশে সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আসার লক্ষণ নেই । সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না তবে ঝুঁকি তুলনামূলক কম এমন দেশের সংখ্যা ১৩টি । অন্যদিকে এমন দেশের সংখ্যা ১৫টি যেখানে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে এবং প্রবল ঝুঁকিপ্রবণ। আর তার মধ্যেই রয়েছে ভারত।
ওই সংস্থার করা বিশ্লেষণ বলছে লকডাউন ওঠার ফলে দুটি চিত্র উঠে আসতে পারে। প্রথমত ভালো দিকটি হল একটি দেশের জনসাধারণের গতিশীলতা বা সজীবতা দ্রুত ফিরছে,সংক্রমণের হার কম ফলে মানুষের মনে ভীতি কমছে, যার জেরে অর্থনীতির চাকা ঘুরছে।
দ্বিতীয় ছবিটি হলে অর্থনীতির চাকা ঘোড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।ফলে ভয় বাড়ছে মানুষের মনে। সে ক্ষেত্রে যদি দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তাহলে লকডাউন আবার জারি করা হতে পারে।
সার্ভেতে ৪৫টি দেশকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে একটি হলো অন ট্র্যাক অর্থাৎ সবকিছু স্বাভাবিক। দুই হল ওয়ার্নিং সাইন বা সতর্কতার লক্ষণ, তিন নম্বর হলো ডেঞ্জার জোন। ভারত পড়েছে এই তিন নম্বর জোনে অর্থাৎ বিপদ রয়েছে।
ভারতের সাথে এই তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চিলি, পাকিস্তান, সুইডেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কানাডা। ঝুঁকি নেই এমন গোষ্ঠীতে রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া। ঝুঁকিপ্রবণ গোষ্ঠীতে রয়েছে জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এর মত দেশ গুলি।

