চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ২০ এপ্রিল: এনআরএস, হাওড়া জেলা হাসপাতালের পর এবার সংক্রমণ ছড়াল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখানে রবিবার ৩ ডাক্তারের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসার পর সোমবার আরও ৪ জুনিয়র ডাক্তারের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলল। এই নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৭ জন চিকিৎসক সংক্রমিত হলেন। চিকিৎসক ছাড়াও গতকাল এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং দুই রোগীর দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সবমিলিয়ে, এই দুই দিনে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোট ৭ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলল। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার ফলেই এঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন নারকেলডাঙার বাসিন্দা এক প্রসূতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন আক্রান্তদের তালিকায় সেই বিভাগেরই ৩ জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। অপরজন হলেন করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ করা মেডিসিনের এক জুনিয়র চিকিৎসক। এছাড়া সিএমসি বিল্ডিংয়ের পূর্ত বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারও সংক্রমিত হয়েছেন। এঁদের সকলকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের দুই রোগীর দেহেও করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তাঁদের বারাসতের কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নারকেলডাঙার ওই প্রসূতির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পরপরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত এক রোগীর করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছিল। প্রথমে মৃত ওই প্রৌঢ়া এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসার ফলেই ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগী সংক্রমিত হয়েছেন বলে চিকিৎসকদের অনুমান। আবার সিএমসি বিল্ডিংয়ের পূর্ত বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ার আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এনআরএসের করোনা আক্রান্ত নার্সের সংস্পর্শে আসার ফলে তাঁর বাবা সংক্রমিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।