সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২ সেপ্টেম্বর: ছয় মাস আগেও দিব্যি চলছিল ছোট্ট ইলেকট্রিকের ব্যবসা। করোনা সব কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে পুরুলিয়া শহরের দেশবন্ধু রোডের বাসিন্দা রাতুল গুহর। নতুন বড় কোনো ব্যবসা করার মতো আর্থিক সংগতি নেই তার। তার এবং পরিবারের জীবন ধারণের জন্য সামান্য পুঁজির ব্যবসার কথা মাথায় আসছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত স্বল্প পুঁজির চা বিক্রির পেশাকে আপন করে নেন তিনি।
করোনা আবহে সাইকেলে করে বাড়ির তৈরি চা বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতাদের মুখের সামনে পৌঁছে দিচ্ছেন এই প্রৌঢ়। পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন আড্ডাস্থল ও জনসাধারণের জমায়েত স্থলে ব্যাগের মধ্যে থাকা ফ্লাক্সের গরম চা পিপাসুর হাতে তুলে দিচ্ছেন তিনি।
এখন অবশ্য প্রতিদিন প্রায় ২০০ কাপ চা বিক্রি হয় তার। যা উপার্জন হয় তাতে কোনও রকমে সংসার চলে যায়। স্ত্রী ছাড়াও এক মেয়ে, এক ছেলে তাঁর। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আগেই। ছেলের পড়াশোনার পিছনে খরচ যোগাতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা দাঁড়িয়ে যায়। এই অবস্থা থেকে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে এখন।

লক ডাউনে তার বিক্রি বেশি হয়। করোনা আবহ ধীরে ধীরে কাটছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। খাবারের দোকান, চা দোকান খুলছে। আর এটাই অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন নতুন চা বিক্রির পেশায় আসা রাতুল গুহ। শেষ পর্যন্ত তাঁর নতুন ব্যবসায় ঠেস পৌঁছাবে না তো! সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চা বিক্রেতা রাতুল।

