জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৬ আগস্ট:
করোনা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার ফল ভোগ করছে খড়গপুর রেল শহর। শহরের আরামবাটিতে একই পরিবারের ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করার ফলে। জানাগেছে, কয়েকদিন আগে ওই পরিবারের কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে কর্মরত পুলিশ কর্মী জ্বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তিনি তা বেমালুম চেপে গিয়ে পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছেন। কয়েকদিন ধরে জ্বর ভালো হচ্ছে না দেখে ১৯ আগস্ট খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করতে দেন। ২১ তারিখ তার পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ততক্ষণে বাড়ির অন্যান্যদেরও সর্দি কাশি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ২২ আগস্ট পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নমুনা পরীক্ষা করান। ২৫ তারিখ তাদেরও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট প্রকাশ হয়। অর্থাৎ ১০ বছরের একজন বাচ্চা সহ পরিবারের মোট ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন।
দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই খড়গপুর শহরকে করোনার কবলে ফেলে দেওয়ায় মঙ্গলবার এই শহরে ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানাগেছে। আর দু একদিনের মধ্যেই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সচেতনতার অভাবে শহরের ঝপেটাপুরে এক শিশু ও বৃদ্ধ সহ একই পরিবারের ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রেও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরিবারের এক যুবক একটি বেসরকারি ফার্মে কাজ করেন। কাজে যাওয়ার সময় বা কাজ থেকে ফিরে এসে হাত পা ধোয়া, মাস্ক পরার কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজন মনে করেনি। ফলে পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একইভাবে খরিদা ও গোলবাজার এলাকায় এক একটি বাড়িতে দুই-তিন জন করে পারিবারিক সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। বাকিরা পাঁচবেড়িয়া, ইন্দা, শ্রীকৃষ্ণপুর প্রভৃতি এলাকার সংক্রমিত বাসিন্দা বলে জানাগেছে।

