আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে থাকায় অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই মৃত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সৎকারের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাটি ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , কাঁথি তিন ব্লকের মারিশদা থানা এলাকার উৎপল গিরি নামে এক ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। ওই ব্যক্তি কাঁথির একটি কাপড়ে দোকানের কর্মী ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তাঁর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর হাসপাতালে রেখে ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছিল। লালারস সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসার আগেই ওই ব্যক্তির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। পরে রিপোর্টে ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ আসে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির দেহ বেডের ওপর পিপি কিট মুড়ে রাখা হয়। যেখানে মৃত ব্যক্তিকে রাখা হয় তার আশপপাশের বেডে অন্যান্য রোগীরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রোগী থেকে রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পারলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসনের আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে সৎকারের জন্য নিয়ে যায় প্রশাসনের তরফ থেকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের অভিযোগ, পিপি কিট মোড়া অবস্থায় দুই দিনের বেশি সময় ধরে পড়ে ছিল মৃতদেহটি।
এই বিষয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, ওই অবস্থায় মৃত দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। আবার মর্গেও মৃতদেহটি রাখা যায় না। তাই মৃত্যুর পর পিপি কিটে মুড়ে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এসে মৃতদেহটি সৎকারের জন্য নিয়ে গেছে। রোগীদের বা রোগীর বাড়ির লোকেদের এই অভিযোগ সঠিক নয়।

