আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট: করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের মত মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেঙ্গালুরুতে। ফলে ইলেকট্রিক চুল্লি রয়েছে এমন শ্মশানের বাইরে শব দেহের পাহাড় তৈরি হয়েছে। দিনের যেকোনো সময় শব দেহ নিয়ে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করছে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স, বা শবদেহবাহি গাড়ি। তার সাথেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন মৃতের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা। কখনো কখনো মৃতদেহ থেকে পচা গন্ধ পর্যন্ত বেরোচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনই মর্মান্তিক দৃশ্য স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে ব্যাঙ্গালুরুতে।
গত ১০ দিনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বেড়েছে ব্যাঙ্গালুরুতে। গত ১০ এর মধ্যে প্রথম ছয় দিনে মৃতের সংখ্যা ছিল, ৩৬, ১৭,২৩,২২,২২,৩৫। কিন্তু ১৬ আগস্ট থেকে এই সংখ্যা আরো অনেকটাই বেড়েছে। তা হয়েছে৪৯,৩৯,৪৯। ১৯ আগস্ট মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। কর্নাটকে দৈনিক গড়ে প্রায় ১০০জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সরকারী হিসেবে প্রায় ৩৯ জনের কোভিডে মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
আর এর ফলেই শ্মশানের বাইরে পড়েছে বিরাট লাইন । ঘন্টার পর ঘন্টা শ্মশানের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে অ্যাম্বুলেন্স, পুরসভারকর্মী, মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ব্যাঙ্গালোরের দুটি শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লিতে করোনা রোগীর দেহ পোড়ানো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি দেহ পড়াতে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। তবে শহরের বেশিরভাগ শ্মশানে করোনা রোগীর দেহ পোড়ানো বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে এমনও হচ্ছে যে অনেক সম। শব দেহ থেকে পচা গন্ধ পর্যন্ত বেরিয়ে যাচ্ছে। দেহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে মাঝরাত বা পরের দিন ভোর হয়ে যাচ্ছে
তবে প্রশাসনের উদ্যোগে বেশকিছু শ্মশানের বাইরে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ফ্রিজে শব দেহ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেহ সেখানে রেখে পরদিন পড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার কখনো কখনো পরিবারের লোকেরা করোনায় মৃত পরিবারের দেহ নিতে অস্বীকার করলে সমস্যা আরও বাড়ছে প্রশাসনের।

