আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৬ ফেব্রুয়ারি: আন্তজার্তিক শিশু ও নারী পাচার রুখতে সমন্বয় বৈঠক হল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের। এবার থেকে চা বাগান কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের পাচার রুখতে গড়া কমিটিতে সামিল করা হচ্ছে। নেপালে শিশু পাচার রুখতে সমন্বয় বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয় বলে দাবি। জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে তিন জেলাকে নিয়ে পাচার রুখতে বৈঠক হল। নেপালে ও বাংলাদেশে পাচার রুখতে সমন্বয় তৈরি করতেই এদিন বৈঠক ছিল। নেপাল সীমান্ত পাহারা দেওয়া সশস্ত্র সীমা বলের অফিসারেরাও ছিলেন।
এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাচার রুখতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যেমন সশস্ত্র সীমা বল, পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকলে নিজেদের কাছে থাকা তথ্য আদানপ্রদান করবে। পাচার রুখতে রাজ্যের টাস্কফোর্স এ দিনের বৈঠক ডেকেছিল। নেপাল সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার বিশেষ করে শিশু পাচার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে চা বাগান এলাকা থেকে শিশুদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে নেপালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আবার উল্টো পথে নেপালের ছেলেমেয়েদের রেস্তোরাঁর কাজ, এমনকি সিনেমায় অভিনয় করানোর টোপ দিয়ে উত্তরবঙ্গে নিয়ে এসে পাচার করা হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে শিশুদের ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নেপাল সীমান্ত পাহারা দেওয়া বাহিনী, প্রশাসন এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয় থাকলে পাচার বন্ধ করা সম্ভব বলে দাবি। উত্তরবঙ্গে এমন ধরণের পাচার নিয়ে সমন্বয় বৈঠক এবারই প্রথম বলে জানিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সরকার৷
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিংয়ের জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ অফিসাররা বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকে হাজির সশস্ত্র সীমা বলের উত্তরবঙ্গের আইজি সুধীর কুমার বলেন, “সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ না করলে পাচার রোখা সম্ভব নয়। সেই কারণে এই বৈঠক।”