জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১০ সেপ্টেম্বর: লালগড়ে একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতোকে বঙ্গজননী বলে সম্বোধন করায় ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
তৃণমূলের মধ্যে বঙ্গজননী বলতে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝেন দলের নেতাকর্মীরা। গতকাল লালগড় ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে করোনা যোদ্ধা একশো তিরিশ জন আশা কর্মীকে মাস্ক স্যানিটাইজার ও শংসাপত্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়। দলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো আশা কর্মীদের হাতে সেগুলি তুলে দেন। ওই অনুষ্ঠানেই লালগড়ের তৃণমূল কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সদস্য নিয়তি মাহাতোকে বঙ্গ জননী বলে সম্বোধন করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিতোষ মন্ডল এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বদলে নিয়তি মাহাতোকে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গজননী সম্বোধন করায় জেলা তৃণমূলের মধ্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
গত বছর মে মাসে হুগলি জেলার নৈহাটিতে একটি সভায় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে বঙ্গ জননী বাহিনী গড়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কোথাও কোথাও বাহিনী গড়ে উঠলেও ঝাড়গ্রাম জেলায় তা দেখা যায়নি। দলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুও জানিয়েছেন, জেলায় বঙ্গজননী বাহিনীর কোনও জেলা নেত্রী আছে বলে তার জানা নেই। দলের জেলা সভাপতির এই বক্তব্যের পর বঙ্গজননী বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে জেলা তৃণমূলে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু নিয়তি মাহাতো অবশ্য জানিয়েছেন, আশা কর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলের কর্মীরা হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে তাকে বঙ্গজননী বলে ফেলেছেন। দলের জেলা সভাপতি দুলাল মূর্মু বঙ্গজননী বাহিনীর জেলা নেত্রী হিসেবে কারো নাম জানাতে না পারলেও জেলার বিভিন্ন ব্লকে আশা কর্মীদের সম্মান জানানো নেত্রীদের বঙ্গজননী বলে উল্লেখ করেছেন দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত।