আমাদের ভারত, ১৬ আগস্ট: কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাধীনতা দিবসের পোস্টারে মহাত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং- এর মাথার ওপরে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের ছবি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে আবার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইতে ভারত বিভাজন এবং পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য মহম্মদ আলি জিন্নাহর মত কংগ্রেসকেও দায়ী করে একটি পরিচ্ছদ সংযোজন করতে চলেছে এনসিআরটি। ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তকের বিতর্কিত মডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, মিথ্যাচার বিজেপি ও আরএসএস- এর অন্যতম চালিকাশক্তি। হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির দিবাস্বপ্ন পূরণে দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে বিকৃত করতে পিছপা হচ্ছে না বিজেপি সরকার।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশভাগের বিভীষিকা স্মরণ দিবসকে মাথায় রেখে আগস্ট মাসে পাঠ্যপুস্তকের নতুন মডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দেশভাগ ছিল মহম্মদ আলি জিন্নাহ, কংগ্রেস এবং মাউন্টব্যাটেনের মিলিত প্রয়াস। দেশ ভাগের লক্ষ্যে প্রচার চালান জিন্না, কংগ্রেস যা সমর্থন করেছিল।
দেশভাগ বাস্তবায়নের জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছিল মাউন্টব্যাটেনকে। জানা গেছে, দেশভাগ সম্পর্কিত বিতর্কিত অধ্যায় সংযোজনে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ষষ্ঠ অষ্টম এবং নবম ও দশম শ্রেণির জন্য পৃথক সংস্করণ তৈরি করেছে এনসিআরটি।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরার শনিবার দাবি করেছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, এই পরিচ্ছদ জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত। দেশভাগ হয়েছিল তৎকালীন হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের বিভাজনের রাজনীতির জেরে। তাঁর সংযোজন, আরএসএস এই দেশের জন্য ক্ষতিকর। ১৯৩৮ সালে হিন্দু মহাসভা দেশ ভাগের দাবি তোলে, তারপর সেই একই দাবি শোনা যায় মুসলিম লীগের মুখেও।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এনসিআরটি পুস্তকে একের পর এক বদল এনেছে। মুঘল ইতিহাস বাদ পড়েছে। এবার সেই বিতর্কের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে ভারত ভাগের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে পরিচ্ছদ যুক্ত হলো বইতে।