আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৯ আগস্ট: স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এক ঠিকাদারের। এই সন্দেহের বসেই ঠিকাদারের গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী শ্রমিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ বাবু ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকড় থানার কলহপুর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম জাকির শেখ (৪৫)।
পুলিশ ও গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির পেশায় শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার। তিনি কেরলে শ্রমিক সরবরাহ করতেন। গ্রামের বাবু শেখকেও কেরলে কাজ দিয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার আমরাপাড়া গ্রামের সুরজ মুনি নামে এক আদিবাসী মহিলাকে বাবু বছর পাঁচেক আগে বিয়ে করে কেরলে কর্মস্থলে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে শ্রমিকদের রান্নার কাজ করত সুরজ। কেরল থেকেই সুরজের সঙ্গে জাকিরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে সন্দেহ হয় বাবুর। লকডাউনের পর সকলে কেরল থেকে বাড়ি ফেরে। জাকির বিবাহিত হলেও শ্বশুর বাড়ি মুর্শিদাবাদে একটি বাড়ি তৈরি করে সেখানে স্ত্রী ছেলেমেয়েকে রেখে আসে। কলহপুর গ্রামে তার দুটি বাড়ি রয়েছে। জাকিরের গ্রামে একাই থাকতেন। গ্রামের বাইরের বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে যায় সুরজ। তার দাবি বকেয়া টাকা নেওয়ার জন্যই তিনি জাকিরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদিকে তার স্ত্রী জাকিরের বাড়িতে রয়েছে জানতে পেরে রাত ৯টা নাগাদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে জাকিরের গলায় কোপ মারে। এরপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ ছুটে এলে বাবু পালিয়ে যায়। এলাকার মানুষ সুরজকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও পুলিশের দাবি বাবু শেখ পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীকে জাকিরের বাড়িতে পাঠিয়ে তাকে খুন করেছে।

