আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১০ ডিসেম্বর: সাংসদের হস্তক্ষেপের পরেও হাল ফেরেনি পাঞ্জুলের বৈগ্রামে। হিলিতে ফের সক্রিয় পাচারকারীরা। ফসল নষ্ট করে দেদার গোরুপাচার চলছে সীমান্তে। কাঠগড়ায় বিএসএফ-পুলিশের ভুমিকা। গণ অভিযোগ জানিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ অসহায় কৃষকরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলির বৈগ্রামে কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট করে গরু পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পায়। ঘটনার প্রতিবাদ করায় এলাকার দুই কৃষকের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে পাচারকারীরা। এক জনের কান কেটে যায় এবং অপরজন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই ঘটনার প্রতিবাদে সংসদে দাঁড়িয়ে সরব হন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সংসদে দাঁড়িয়ে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ। বিএসএফের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় তাঁদের ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষেও সাওয়াল করেন তিনি। যার পর পুলিশ কিছুটা সক্রিয় হলেও ফের বৈগ্রাম এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে গরু পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে রাতের অন্ধকারে চলছে দেদার পাচার। ঘটনার প্রতিবাদে একজোটে সরব হয়েছেন গ্রামের কৃষকরা। গণ অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে বিডিওর কাছে।
বিপুল সরকার নামে এক কৃষক বলেন, কে কি পাচার করছে তা তাঁদের দেখার বিষয় নয়। কিন্তু তাঁদের জমির ফসল নষ্ট করে এমন কাজ হলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় কৃষকদের হুমকিও মিলছে পাচারকারীদের তরফে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
হিলির বিডিও সৌমেন বিশ্বাস বলেন, গ্রামবাসীদের গণ অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ ও পুলিশকে চিঠি করা হয়েছে। তাদের সাথে আলোচনা করেই এব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।