৮৪৪ থেকে ১৮০৬! ১০ দিনে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ল কনটেনমেন্ট জোন

রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ জুন: একদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। আবার অন্যদিকে রাজ্যে বিপুল হারে বেড়েই চলেছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পর সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে দাবি করেছেন অনেকেই। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১০ দিনে ৮৪৪ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১৮০৬ দাঁড়িয়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। তবে এর জন্য রাজ্য সরকারের নতুন নীতি দায়ী বলেও অভিযোগ অনেকের।

বৃহস্পতিবার রাতেই এই নতুন তথ্য পেশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তথ্য অনুসারে, জুনের প্রথম দিকে পশ্চিমবঙ্গে থাকা ৮৪৪ কনটেনমেন্ট জোন এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০৬ জনে। এই কনটেনমেন্ট জোনের প্রায় ৬০ শতাংশ কলকাতাতেই। কলকাতার নিরিখে জুনের প্রথম ১০ দিনে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। ৩৫১ থেকে বেড়ে তা হয়েছে ১০০৯টি। এছাড়া অন্যান্য জেলাতেও কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৪৪ থেকে বেড়ে ২১৯ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

কনটেন্টমেন্ট জোন সংখ্যা বাড়ার পিছনে রাজ্য সরকারের কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার নতুন নীতি দায়ী বলেও মনে করছেন অনেকে। ওই নীতি অনুযায়ী, শুধুমাত্র যে আবাসনে করোনা রোগীর সন্ধান মিলবে, সেখানেই বিধিনিষেধ জারি হবে। রাস্তা বা এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় ফেলা হবে না। কারণ তাহলে অন্যান্য কার্যকলাপ তার পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষজন চালু রাখতে পারবেন। ফলে আগে যেখানে এক কনটেনমেন্ট জোন এলাকাতেই অনেক রোগীকে একসঙ্গে ফেলা যেত, এখন প্রত্যেক করোনা রোগীর জন্য আলাদা কনটেনমেন্ট জোন হওয়ায় সংখ্যা বেড়েছে। আর এর ফলেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *