আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৯ ডিসেম্বর: মুখ ও বধির এক যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এক গ্রামের ঘটনা। ওই যুবতী পাঁচ মাসের গর্ভবতী। এদিকে বিয়ে করতে নারাজ ওই যুবক। পড়শিদের দাবি, অভিযুক্ত যুবক যুবতীর সম্পর্কে আত্মীয়, বিবাহিত স্ত্রী সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
এই ঘটনার প্রতিবাদে নামল জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মহিলারা। শুক্রবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয় যুবতীর পরিজন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যারা। এরপর ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেন নির্যাতিত যুবতী।
গ্রামবাসীর সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর মা ও বাবা মারা গিয়েছে। বাড়িতে এক ভাই আছে প্রতিবন্ধী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাহের অভিযোগ উঠে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে গ্রামবাসীরা ওই যুবকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও বিয়ে করতে নারাজ। উল্টে গ্রামবাসীদের ওই যুবক হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
যুবতীর প্রতিবেশী জানায়, “প্রায় দিনই বাড়িতে আসত ওই যুবক। সকলকে ওই যুবক বলত আত্মীয়। এখন ওই যুবতী গর্ভবতী।” এদিকে যুবতীর এক আত্মীয় বলেন, “আমরা চাই বিয়ে করুক ওই যুবক। এখন বিয়ে করতে চাইছে না। এই কারণে থানায় অভিযোগ করলাম।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যা বন্দনা সরকার বলেন, “অভিভাবক নেই যুবতীর৷ এর মধ্যে যুবতীর মুখ ও বধির অবস্থাকে কাজে লাগিয়েছে লাগাতার যুবতীর সঙ্গে সহবাস করে বিয়ে করতে চাইছে না। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ হবে এই দাবি তোলা হয়েছে।”
মহিলা থানার দ্বায়িত্বে থাকা কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”