আমাদের ভারত, বাঁকুড়া,১১ ফেব্রুয়ারি: জগাই-মাধাই-গদাই সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এই তিন ভাই মিলে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এরা যতো আক্রমণ করবে তৃণমূল ততো বাড়বে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় দলীয় বুথ ভিত্তিক কর্মী সভায় এসে ঠিক এই ভাষাতেই তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রাক্তন সিপিএম জেলা সম্পাদক ও বর্তমানে ঐ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্রের নাম করে বলেন, পরিবর্তনের আগে আমি এখানে সভা করতে এসেছিলাম। অমিয় পাত্রদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও অসংখ্য মানুষ সেদিন সতীঘাটের সেই সভায় এসেছিলেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার দু’টি কেন্দ্রই হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তারপর এই প্রথম জেলা সফরে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমের ভোট বিজেপি পেয়েছিল। আর এক্ষেত্রে টাকার খেলা হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর বক্তব্যের বেশীরভাগ অংশ জুড়েই বিজেপিকে তুলোধোনা করেন। তিনি বলেন, বিজেপিকে ভোট দিয়ে এনআরসি এসেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে নিজের অধিকার হারানো। আর তৃণমূলকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা করা যাবে না বলে দৃপ্ত কন্ঠে এদিন ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিম।
এদিন দিল্লিতে আম আদমি পার্টি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের পর মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার পর আজ দিল্লিতেও বিজেপি হেরেছে। এই ফলাফলে তিনি খুশি জানিয়ে বলেন, বিজেপি এখন ভোকাট্টা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেটের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জন্য নানান প্রকল্প তৈরী করেছি।
দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যেও এদিন তিনি কড়া বার্তা দেন। বলেন, এখানে কেউ নেতা নয়। যে কর্মী মাটির বাড়িতে থেকে দলের কাজ করে তার প্রতি আমাদের নজর আছে, ভালোবাসা আছে। একই সঙ্গে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা না করলে সে দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন বলেও স্পষ্ট হুঁশিয়ারী দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।