পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জুন: জেলার গর্ব হয়ে উঠলেন সাহসপুর ঘোষাল হাই স্কুলের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রী স্বর্ণাভা বেরা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে নিজ গরিমায় সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা (NEET) উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর এই সাফল্যে জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া।
উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ায় গত ২৮ মে তাঁকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন এবং সেচ ও জলপথ বিভাগের মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইঞা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানি মাইতি, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরি তাঁকে অভিনন্দন জানান। মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইঞা স্বর্ণাভা-র কাছে জানতে চান তাঁর ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা। উত্তরে স্বর্ণাভা জানান, তিনি আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চান। এরপরই এক মানবিক সিদ্ধান্তে মন্ত্রী ঘোষণা করেন, স্বর্ণাভার আগামী দিনের সমস্ত পড়াশোনার খরচ তিনি নিজে বহন করবেন। মন্ত্রী নিজে একজন চিকিৎসক। তাঁর এই মানবিক উদ্যোগে খুশি স্বর্ণাভার পরিবার। উপস্থিত সকলেই হাততালি দিয়ে সাধুবাদ জানান মন্ত্রীর এই মানবিক উদ্যোগকে।
বর্তমানে স্বর্ণাভা NEET-এ সাফল্যের মধ্যে দিয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে ঘিরে নতুন আশার আলো দেখছেন শিক্ষক, অভিভাবক, সহপাঠী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের প্রত্যাশা, স্বর্ণাভা যেন দক্ষ চিকিৎসক হয়ে সমাজের সেবা করতে পারেন। স্বর্ণাভা বেরা প্রমাণ করে দিলেন, প্রতিকূলতা ইচ্ছাশক্তিকে হারাতে পারে না। তাঁর এই জয় শুধু ব্যক্তিগত নয়, গোটা জেলার জন্য এক গর্বের বিষয়।