নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর:
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি’র প্রতিবাদে রবিবার শহরে মিছিল করল যুব কংগ্রেস। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হেনস্তার ঘটনায় পথে নামে ছাত্র পরিষদও। বছরের শেষ রবিবারে কংগ্রেসের এই দুই কর্মসূচির জেরে শহর ছিল সরগরম। জনরোষের আতঙ্কে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ রুখে দেবে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিজেপি বাধ্য হবে এনআরসির ভাবনা থেকে সরে দাঁড়াতে। রবিবার যুব কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে এমনটাই বললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। এদিন ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে থেকে যুব কংগ্রেসের মিছিল মহাজাতি সদনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু সেন্ট্রাল এভিনিউয়ে যোগাযোগ ভবনের সামনে মিছিল প্রতিহত করে পুলিশ। সেখানেই রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ শুরু করে যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এর জেরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়।
এদিনের এই কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন যুব কংগ্রেস নেতারা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা।উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপর হেনস্তার ঘটনায় এদিন কলকাতায় পথে নামে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা। শহরে উত্তরপ্রদেশ পর্যটন ভবনের সামনে বিক্ষোভ সংগঠিত করে তারা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে আগেই ঘোষণা করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই ঘোষণা মত কংগ্রেসের সমস্ত শাখা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে শহরে।