আমাদের ভারত, ২৩ ডিসেম্বর: হিজাব পরার উপর থেকে নিষেধাক্কা তুলে নিয়েছে কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের হিজাব পরে যাওয়ায় কোন বাধা রইল না। নিষেধাজ্ঞা জারির সাত মাস পর তা তুলে নিল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু কর্ণাটক সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে আসলে কংগ্রেস শরিয়ত আইনকেই মান্যতা দিয়েছে।
সিদ্দারামাইয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে পদ্ম শিবির। কর্ণাটক বিজেপির মতে একই রখম পোশাক পরা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখে। সুপ্রিম কোর্টও সেই কথা বলেছে, কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই সিদ্দারামাইয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন বলে অভিযোগ তাদের।
কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের হিজাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, এটা শুধু হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নয়, এই ভাবে আসলে রাজ্যে শরিয়তকে মান্যতা দিল কংগ্রেস।” আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় থাকলে দেশে ইসলামিক আইনি জারি করে দিত।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী বিএস বোম্বাই রাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও এই মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা গড়িয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টেও। শীর্ষ আদালত যেহেতু এখনো পর্যন্ত রায় ঘোষণা করেনি তাই বিজেপি সরকারের জারি করা সিদ্ধান্ত অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় প্রতীক প্রতিফলিত হয় সেই রকম কোনো পোশাক না পরার নির্দেশ জারি ছিল। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা ইচ্ছামতো হিজাব পরতে পারবে, তাতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কে কী খাবে কী পড়বে তা আমরা ঠিক করে দেওয়ার কেউ নই। আমরা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।