আমাদের ভারত, ২৫ জুন:।জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষে আবার একবার কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায় জরুরি অবস্থার দিনগুলি কংগ্রেস গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করে রেখেছিল।
বুধবার জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষ। সোমবার থেকেই বিজেপি সহ পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতা আক্রমণ শানাতে শুরু করে হাত শিবিরের বিরুদ্ধে। জরুরি অবস্থার দিনগুলিকে বার বার স্মরণ করা উচিত বলে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির অভিযোগ, জরুরি অবস্থা ছিল গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করার প্রচেষ্টা।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় জরুরি অবস্থা। তার ৫০ বছর পূর্ণ হল আজ। ভারতের জনগণ এই দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতের সংবিধানে বর্ণিত মূল্যবোধগুলিকে বিলুপ্ত করা হয়েছিল। মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিলুপ্ত করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করে রেখেছিল।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্সে হ্যান্ডেলে লিখেছেন, জরুরি অবস্থা জারি ছিল স্বাধীন ভারতের ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বিরোধীদের কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল কংগ্রেস। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে দেশ পরিচালনা করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলেই দাবি করেছেন রাজনাথ।
একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সেই ভারত এখন অতীত। দেশে এখন গণতন্ত্র জাগ্রত। ২৫ জুন’কে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে স্মরণ করেছেন জরুরি অবস্থায় বিরোধিতা করা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া মানুষদের অবদানকে। ২৫ জুন’কে স্বাধীন ভারতের কালো দিন বলে উল্লেখ করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও।