সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৭ ডিসেম্বর: পুরুলিয়া পুরসভায় ভুয়ো অস্থায়ী কর্মী ও এই দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করল কংগ্রেস। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পুরুলিয়া পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান নেতা কর্মীরা। গতকাল বিজেপি একই ইস্যুতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল।
পৌরসভায় ১০০ জন অস্থায়ী ভুয়ো কর্মীর হদিশ পায় বর্তমান প্রশাসনিক বোর্ড। সেই ভুয়ো কর্মীর নাম দিয়ে গত প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে মাসে মাসে টাকা তুলেছে। এই দুর্নীতির ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে তাঁদের বিক্ষোভ বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক সোমেশ্বর লাল সিংদেও।
পুরুলিয়া পৌরসভায় ২৩ টি ওয়ার্ড। স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা রয়েছে হাতে গোনা। এই পরিস্থিতিতে বাম আমল থেকেই অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করে আসছেন। ২০১১ সালের পর আরও বেশ কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়। এই মুহূর্তে ১৬৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। পৌর বোর্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পর নতুন পৌর প্রশাসক হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা নবেন্দু মাহালিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সরেজমিনে গিয়ে বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মীদের দেখতে পাননি, তখনই তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই সব কর্মীরা পৌরসভার কোনও কাজে যুক্ত নেই। অথচ, মাসে মাসে এই সব কর্মীরা বেতন হিসেবে টাকা তুলে নিয়ে যায়। খোঁজ শুরু হতেই এখনও পর্যন্ত ১০০ ভুয়ো কর্মীর হদিশ পাওয়া যায়। আগামীদিনে আরও সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান বর্তমান প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি। তিনি এদিন বলেন, “আমরা দফতরীয় স্তরে তদন্ত শুরু করেছি।”
এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন পুরুলিয়া শহর কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, জেলা সহ সভাপতি সুখেন্দু ত্রিপাঠি, দুলাল সরকার, অর্ণব সেন প্রমুখ নেতৃত্ব।