রাজেন রায়, কলকাতা, ৩ সেপ্টেম্বর: বিপুল রোগীর চাপে বারবারি সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে উঠছে কলকাতা সরকারি হাসপাতালগুলোতে। এর আগেও হাসপাতাল সুস্থ বললেও রোগীর পরিবার এসে দেখেছেন তাদের রোগী আগেই মারা গিয়েছেন। ফের আরও একবার অভিযোগের তিরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
জানা গিয়েছে, মৃত করোনা রোগী কৃষ্ণদাস সূত্রধর (৫৫) নামক ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি টালিগঞ্জ-এর কুঁদঘাটে। গত ২৫ জুলাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কৃষ্ণদাস সূত্রধরকে। বিগত ২ বছর ধরেই তার হার্টের সমস্যাও রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরে ২৮ জুলাই কৃষ্ণদাসের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরেই তার চিকিৎসা শুরু হয়।
কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কৃষ্ণদাস ফোন করে জানান তার হার্টের কোন চিকিৎসাই করা হচ্ছে না। এমনকি তাকে হার্টেরও কোনরকম ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। আগস্টের শেষের সপ্তাহে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, কৃষ্ণদাসের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগীর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। তাঁকে সুস্থ রাখার জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে।
পরে ওইদিনই সন্ধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ওই রোগীর পরিবার।হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, রোগী ভাল ও সুস্থ আছেন। কিন্তু কৃষ্ণদাস বাবুর ছেলে সুজিত বুধবার জানতে পারেন, সোমবারই জেনারেল ওয়ার্ডে থার্ড ফ্লোরে ৩০৪ নম্বর বেডে মৃত্যু হয়েছে বাবার।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী এবং সন্তান যখন কুঁদঘাটের বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসার সময় হাসপাতাল থেকে ফোন করে রোগীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে এসে ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষ্ণদাস সূত্রধরের ছেলে। তিনি দাবি করেন, তার বাবা সোমবারই মারা গিয়েছেন, কিন্তু হাসপাতাল থেকে সেই খবর লুকিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এই নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি।

