আমাদের ভারত,দক্ষিণ ২৪ পরগণা: বারুইপুরের পর এবার সোনারপুরে সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠলো বাবার বিরুদ্ধে৷ স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তাকে মারধর করে, ভয় দেখিয়ে সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর থানা এলাকায় রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লীতে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় মানুষজন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঐ দম্পতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সন্তানকে কয়েকদিন আগেই বিক্রি করে দিয়েছিল বাবা। সেকথা এতদিন প্রতিবেশিরা জানতে পারেনি। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্তের বাড়িতে যায়। তাদের সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্ত্রী ঝুম্পা মন্ডল প্রতিবেশীদের গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেয়৷ ঝুমার বক্তব্য, জোর করে তাঁর কাছ থেকে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনা কাউকে জানালে তাঁকে মেরে ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়৷ তিনি বলেন, “আমার স্বামী জোর করে সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে”।
এরপর প্রতিবেশীরাই পুলিশকে বিষয়টি জানায়৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী টমাস ওরফে রোমিও মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে৷ পুলিশি জেরায় এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত টমাস। যদিও প্রথমে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি অস্বীকার করে নিজের স্ত্রীর উপরেই দোষ চাপান তিনি। টমাস বলেন, “ আমার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন, ও সন্তানকে মানুষ করতে পারবে না তাই আমি অন্য একজনকে সন্তান দিয়ে দিয়েছি”। তবে ঠিক কার কাছে ঐ সদ্যোজাতকে বিক্রি করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি অভিযুক্ত। সেই ব্যক্তির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বৄহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়৷ যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি সদ্যোজাতকে৷ ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক বাসুদেব ধর বলেন, “ ঘটনা শুনে আমরা স্তম্ভিত, পুলিশ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে সত্যতা উদ্ঘাটন করুক”।