পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৩ সেপ্টেম্বর: কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বহিরাগতদের দাদাগিরি বালুরঘাট কলেজে। চলছে প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের অনার্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তোলাবাজির ঘটনা বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীদের। বহিরাগতের কথা স্বীকার করলেও টাকা তোলবার অভিযোগের কোনো সারবত্তা পায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ, দাবি অধ্যক্ষের।
বালুরঘাট কোয়েড কলেজে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়ে উঠেছে বহিরাগতদের আনাগোনা। চলছে নানা অসামাজিক কাজও, এমনটাই অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীদের। শুধু তাই নয়, প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের অনার্স পাইয়ে দেবার নাম করে চলছে টাকা তোলার প্রক্রিয়াও। শুক্রবার এমনই অভিযোগে বালুরঘাট কলেজের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা একযোগে গণ অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন অধ্যক্ষের কাছে। তাদের অভিযোগ অমরনাথ ঘোষ, আরিয়ান অধিকারী, রাহুল সরকার, দেবজিৎ দে এবং রক্তিম মহন্ত নামে পাঁচ বহিরাগত কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের কাছে টাকা তুলছে। কারো কাছে ১০০০০ টাকা এবং কারো কাছে ১৫০০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অমরনাথ ঘোষ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বালুরঘাট শহর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অমরনাথ বাবু। তার দাবি, তাকে বদনাম করবার জন্যই চক্রান্ত করে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
অভিযোগকারী ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে পায়েল বর্মন জানিয়েছেন, কলেজে বহিরাগতদের তাণ্ডব চলছে। অনার্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের কাছে থেকে অমরনাথ ঘোষ, আরিয়ান অধিকারী, রাহুল সরকার, দেবজিত দে এবং রক্তিম মহন্তরা হুমকি দিয়ে টাকা তুলছে। যাদের ভয়ে অনেকে কলেজে আসতেই ভয় পাচ্ছে। যার প্রতিবাদেই কলেজের অধ্যক্ষকে তারা গণ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অমরনাথ ঘোষ বলেন, ভর্তির ব্যাপারে কারো সাথে কোনো কথায় বলেন না তিনি। তার ইমেজ খারাপ করবার জন্য এসব মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহভ করবেন তিনি।
বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু জানিয়েছে, ভর্তির সময় বহিরাগতরা থাকে। অভিযোগ পেয়েছেন তবে অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা পাননি। তাই কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।