পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি: ২২ জানুয়ারি পাঁচশো বছরের লড়াইয়ের ফল আমরা স্বচক্ষে দেখতে পাবো। ঠিক সেই সময় বাবরের সমর্থনকারীদের নিয়ে মিছিল করে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে যে কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ চিন্তিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার বেলদায় দলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সেই কারণে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। শান্তি মিছিল করার হলে অন্যদিনে নয় কেনো? প্রশ্ন সুকান্তর। তিনি বলেন, শান্তি মিছিল থেকে বিরোধ বাধাবার চেষ্টা করলে হিন্দুরা একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করবে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইডি হানা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, চোরকে ধরতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ইডি। তথ্য প্রমাণ হলে তবেই গ্রেফতার হচ্ছে, দোষ করলেই সাজা পাবে।
সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমকাজে সমবেতনের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আপনার জেলার এসপি যেভাবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাচ্ছে তার অধস্তন পুলিশ কর্মীরা তার থেকে কম হারে ডিএ পাচ্ছে। হিংসে হওয়া তো স্বাভাবিক।
২২ জানুয়ারি কালীঘাটে রাম পুজোর আবেদনে মনজুর করেছে আদালত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কালীঘাটে অনুমতি দিলেও যেখানে যেখানে সাধারণ মানুষ রাম পুজোর আবেদন করেছে সেই সব আবেদন খারিজ করেছে পুলিশ। রাজীব কুমারকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এরকম নির্দেশ দিচ্ছেন। সুকান্তর মজুমদার প্রশ্ন করেন, তাহলে এ রাজ্যে রামের পুজো করা কি অপরাধ?
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, “রাজ্যে কি দমন নীতি চালু হয়েছে? এ প্রসঙ্গে সুকান্তরবাবুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে কে আগে জেলে যাবেন। রাজ্যে জব কার্ড দুর্নীতি প্রসঙ্গে হাইকোর্টের কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কমিটি গঠন করলে কোনো লাভ হবে না। যখনই জব কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যোগ করে দেওয়া হলো তখনই সব বাতিল হয়ে গেল। তার মানে এতদিন ভূতে টাকা খাচ্ছিল। এতদিন ধরে এটাকা যে তোলা হয়েছে সেগুলো কোথায় গেল তার জবাব দিতে হবে তৃণমূল সরকারকে। তারপরে না হয় নতুন টাকা চাইবে।
পুরুলিয়ায় পাথর কেটে পাহাড় চুরি প্রসঙ্গে বলেন, পাথর তো দূরের কথা তৃণমূল লোকের বউ চুরি করে নিচ্ছে। এরা পাথর, বউ, বাথরুম সবই চুরি করে।