রাজেন রায়, কলকাতা, ৪ জুলাই: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বেকারত্বের হার বেশি এবং বাংলায় কম, এমন তথ্য সামনে এনে এবার কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই চমকপ্রদ তথ্য পেশ মুখ্যমন্ত্রীর। করোনার সময়ে দেশজুড়ে বেকারত্ব বাড়লেও বাংলায় আমফান ও করোনার জোড়া ফলার পরেও সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক পদক্ষেপের ফলেই এই ভালো ফল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। শুধুমাত্র বাছাই করে পশ্চিমবঙ্গের নিচে থাকা কয়েকটি রাজ্যের বেকারত্বের হার দেখিয়ে আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছেন, এমনটাই মত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
ট্যুইটের মাধ্যমে বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানাকেই মূল আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন টুইট করে তিনি জানান, সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাসে এই রাজ্যে বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ। সেখানে জুন মাসেই সারা দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ১১ শতাংশ, যা রাজ্যের প্রায় দ্বিগুণ। পাশাপাশি, এই হার উত্তরপ্রদেশে ৯.৬ শতাংশ, হরিয়ানায় ৩৩.৬ শতাংশ।
এর থেকেই স্পষ্ট, করোনা ও আমফানের জোড়া ফলার আক্রমণ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করেছে। সারা দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য একাধিক উদ্যোগ করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে ফিরে আসা আইটি প্রফেশনালদের জন্যও কর্মভূমি পোর্টালেরও ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। তার মাধ্যমেও কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। ফলে আমূল বদলে গিয়েছে বেকারত্বের হার।
সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে, জুন মাসে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে বেকারত্বের হার ৯.৬ শতাংশ। আর দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব মনোহর লাল খাট্টার শাসিত হরিয়ানায়। সেখানে জুন মাসে বেকারত্ব ৩৩.৬ শতাংশ। এই দুটি রাজ্যের কথাই বিশেষ করে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, বেকারত্বে উত্তরপ্রদেশকে টেক্কা দিয়েছে পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। কিন্তু তিনটি রাজ্যর উল্লেখ নেই মুখ্যমন্ত্রীর টুইটে। এমনকী, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমশাসিত কেরলের বেকারত্ব নিয়েও কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী।