পত্রযুদ্ধ ! রাগের চেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছি, রাজ্যপালকে ১৩ পাতার চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, সারবত্তাহীন চিঠি বললেন রাজ্যপাল

আমাদের ভারত, ২ মে:করোনার মত মহামারীর সাথে লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য- রাজ্যপালের পত্র যুদ্ধে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখরের জোড়া চিঠির জবাবে তাকে পাল্টা চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তের পাতার চিঠিতে চৌদ্দটি পয়েন্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতুত্তরে টুইট করে রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিকে সারবত্তাহীন বলে টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন এই চিঠির উত্তর দেওয়া হবে।

আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির। চরমে পৌঁছেছে রাজ্য রাজ্যপালের নজীরবিহীন সংঘাত। ১৩ পাতার চিঠিতে কড়া ভাষায় রাজ্যপালের সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি বলেছেন, রাজ্যপাল যে ভাষায় তাঁকে, তাঁর মন্ত্রীদের ও তার প্রশাসনকে সমালোচনা করেছেন তা নজিরবিহীন। রাজ্যপালের ভাষা প্রয়োগ নিয়েও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যপালের চিঠি গুলিতে রাগের চেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

১৩ পাতার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যপালের এই ভাষা ব্যবহার মোটেই কাম্য নয়। বরং তিনি রাজ্যপালের কাছে সহযোগিতা কামনা করে। তিনি লিখেছেন এই ভাষা অন্যান্য মন্ত্রীদের কাছে অপমানজনক।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই পাল্টাপত্র পৌঁছাতেই রাজভবন থেকে টুইট করে তাকে পাল্টা উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপালও। ধনখড় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী চিঠির কোন সারবত্তা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত একই সুরে সংঘাতের বদলে এটা হাতে হাত রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সম য়বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন রাজভবন থেকে এই চিঠির উত্তর যাবছ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তার দেওয়া ১৩ পাণর পাতায় চিঠিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপালের আর কোন চিঠির উত্তর তিনি দেবেন না। কারণ এটা চিঠি চালাচালির সময় নয় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সময়।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1256562707571982338?s=08

দুই তরফের একের পর এক টুইট, একের পর এক চিঠি সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। শনিবার সকালে করোনা মোকাবেলায় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য তথ্য গোপন করেছে বলে অভিযোগ তুলে একটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছিলেন করোনা নিয়ে তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার বদলে মুখ্যমন্ত্রী স্বচ্ছভাবে সবকিছু প্রকাশ করুন। এর আগে ২৩ ও ২৪ শে এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪ পাতা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। রাজ্যপাল সেই চিঠির প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে দোষারোপ করেছিলেন। তার পরিষ্কার অভিযোগ ছিল করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ। ১৪পাতার চিঠিতে তিনি ৩৭ দফা অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপালের এই চিঠি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ৫ পাতার উত্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *