পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৮ ফেব্রুয়ারি: তিন বছরেও মামলা না এগোনোর অভিযোগে উকিল-মক্কেলের হাতাহাতিতে ধুন্ধুমার বুনিয়াদপুর আদালত চত্বর। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোলের শিশুকে নিয়ে রাজ্যসড়ক অবরোধ এক মহিলার। সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের সামনে। রাস্তায় বসে পড়া ওই মহিলার অভিযোগ, তিন বছর পার হবার পরেও উকিলবাবু মামলার কিছু না করায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মাত্র। আর তাতেই তাকে ও তার পরিবারের লোকজনদের মারধর করা হয়েছে। যদিও উকিলবাবুর দাবি, মক্কেলের জন্য তিনি সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। ভুল বুঝেই তারা এমনটা করেছেন। এদিন এই ঘটনাকে ঘিরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বুনিয়াদপুর-রায়গঞ্জ রাজ্যসড়ক। যদিও পরে বংশীহারী থানার পুলিশ পৌছে স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি।
গঙ্গারামপুর পুরসভার সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা তথা ওই অভিযোগকারিণী মহিলা মৌ দাস। প্রায় চার বছর আগে তার সাথে মালদার গাজোল এলাকার বাসিন্দা সুদেব দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর উভয়ের মধ্যে বেশকিছু সমস্যায় আদালতের দ্বারস্থ হন তারা। সোমবার সেই মামলার বিষয়ে কথা বলতেই অভিযোগকারিণী ওই মহিলা ও তার পরিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী রঞ্জিত সাহার কাছে যান। যেখানে কথাবার্তা চলাকালীন সময়েই অভিযোগকারিনী মহিলা ও তার পরিবারের লোকেরা উকিলবাবুর সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। যার পরেই কোলের শিশুকে নিয়ে বুনিয়াদপুর-রায়গঞ্জ রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন ওই মহিলা। এমন ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াতেই বংশীহারী থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌছে ওই অভিযোগকারিণীকে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মৌ দাস বলেন, মামলার বিষয় জানতেই ওই উকিল হাসছিল। যে ঘটনার প্রতিবাদ তার বাবা জানাতেই তাকে সহ তাদের সকলকেই মারধর করা হয়েছে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী রঞ্জিত সাহা জানিয়েছেন, তার জন্য তিনি সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। ভুল বুঝেই তিনি এমনটা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রজত নারায়ণ কুন্ডুকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কিছু বলতে চাননি।

