Canal, Tamluk, তমলুকে ২টি নদী ও ৩৫টি ছোট- বড় খালের কচুরীপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের নির্দেশ সেচ দপ্তরের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ জুলাই: বর্ষার সময় প্রতিবছর জলনিকাশীতে বড় বাধা সৃষ্টি করে খালের ভেতরে থাকা কচুরীপানা ও আবর্জনা। সেইজন্যে বর্ষার পূর্বেই সমস্ত নিকাশী খালে জমে থাকা কচুরীপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের দাবি জানিয়ে চলতি বছরের বর্ষা শুরুর অনেক আগেই গত ২০মে রাজ্যের সেচমন্ত্রীকে চিঠি দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সেচ ও জলপথ দপ্তর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ডিভিশনের নিউ কাঁসাই ও চন্ডীয়া নদীর খানিক অংশ সহ আরো ছোট-বড় ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ নিকাশী খালে জমে থাকা কচুরীপানা ও আবর্জনা পরিস্কারের উদ্যোগ নিল। ইতিমধ্যে ওই কাজের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ঠিকাদারদের ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা হবে। তবে সেচ দপ্তর এ সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজে নামার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে কোনো কোনো ঠিকাদার কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, সেচ দপ্তরের তমলুক ডিভিশনের নিউ কাঁসাই নদীর সাড়ে তিন কিমি, চন্ডীয়া নদীর ১৪ কিমি অংশ সহ আরো ৩৫টি ছোট বড় খাল যথা- বাক্সী খাল ৮ কিমি, চাপদা-গাজই ৫.৮ কিমি, দেওয়ানখালি ৪.৫ কিমি, ক্ষীরাই বাক্সী ৪ কিমি, মুগদারী ৪.৫ কিমি, টোপা ড্রেনেজ কাট ৫.৩ কিমি, টোপা ৭ কিমি, ভোলসরা ৬ কিমি, গারুঘাটা ৬ কিমি, প্রতাপখালি ১০ কিমি, গোপালপুর ৮ কিমি, যমুনা-ল ৩ কিমি, আনন্দখালি ৮ কিমি, হিজলি টাইডাল ক্যানেল ১০ কিমি, তেতুলবেড়িয়া ৭ কিমি, সোয়াদিঘি ৭.৫ কিমি, পায়রাটুঙি ২.১কিমি, শঙ্করআড়া ৩ কিমি, বাসুয়া ৩.৮ কিমি, জঁফুলি ৬ কিমি, কামিনা ৪ কিমি, কোল্লা ২ কিমি, ওয়ান মেন ২ কিমি, টু সি মেন ২.৩ কিমি, টু সি ওয়ান ক্যানেল ২.৫ কিমি, চালতাতলা ৪.২ কিমি, দেনান ৪.৭ কিমি,জয়গোপাল-২.২ কিমি, খড়িচক ৬ কিমি, মির্জাপুর ৬ কিমি, মুড়াইল ৩ কিমি, নোনা ১.৫ কিমি, নোয়াবেনিয়া ৩ কিমি, দেহাটী ১২.৭ কিমি, মনসাতলা-৬ কিমি মিলিয়ে মোট ১৯৭ কিলোমিটার অংশে জমে থাকা কচুরীপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, খালের মধ্যে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনা একেবারে খালের বাঁধে তুলে পুড়িয়ে দিতে হবে।

নারায়ণবাবু আরো বলেন, অতি দ্রুত ঠিকাদাররা ওই কাজে হাত না দিলে খালে জলস্তর বেড়ে গেলে বাস্তবে কচুরীপানা ও আবর্জনা ডাঙায় না তুলে খালের পাড়েই রেখে চলে যাবে ঠিকাদার। পোড়ানো তো দূরের কথা। সম্প্রতি এ বিষয়ে সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করে কমিটির পক্ষ থেকে ওই দাবী জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *