সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৭ মে: ভোটের দিন ঘোষণার আগেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। আহত দুই পক্ষের ৫। গুরুতর অবস্থায় দু’জনকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়াত পঞ্চায়েতে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে এখন থেকেই দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া- ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মেঠ পাড়ার পঞ্চায়েত সদস্যা রহিমা বিবি এবং স্বামী গিয়াস উদ্দিন মণ্ডল প্রাক্তন প্রধান। তাদের অভিযোগ, আসন্ন
পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকা থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়াতে চায় সাইফুল মন্ডল। সেই কারণে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায়
গিয়াসউদ্দিন মন্ডল তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চৌবেড়িয়া বাজারে অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে আসেন। সেই সময় সাইফুল মন্ডল সহ কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরপর দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পার্টি অফিসের মধ্যেই। সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সাইফারুদ্দিন মণ্ডল ও অন্য গোষ্ঠীর সাইফুল মন্ডল বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জেরে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনা থামাতে এলাকায় পুলিশ পকেট বসানো হয়। দুই গোষ্ঠীর তরফ থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়।
যদিও এই বিষয়ে চৌবেড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন হাজরা বলেছেন, একটা গন্ডগোল হয়েছে সেটা অস্বীকার করার নয়। কিন্তু এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। এক বাড়িতে দুই ভাই থাকলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হতে পারে। ওদের পারিবারিক ঝামেলার জেরে পার্টি অফিসের বাইরে দুই পক্ষ গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছিল।
এই বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, তৃণমূলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সারা বাংলাজুড়ে গন্ডগোল চলছে। চৌবেড়িয়াতে পঞ্চায়েত ভোটে কে দাঁড়াবে তাই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছে।