আমাদের ভারত, ৭ ডিসেম্বর: গোটা দেশে হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়িয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করার প্রতিবাদ করলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটকার। বুধবার তিনি ও সুশীল সমাজের একাংশ একটি আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় সমস্ত সংগঠন মিলিতভাবে আগামী দিনে বিদ্বেষের ও হিংসার বিরুদ্ধে এবং সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও সমানাধিকারে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কলকাতার ভারত সভা হলে ‘বিদ্বেষ ছাড়ো, সংবিধান বাঁচাও’ শিরোনামে ওই আলোচনা সভায় মেধা ছাড়াও বক্তাদের মধ্যে ছিলেন এনএপিএমের জাতীয় কনভেনার প্রফুল্ল সামন্তরায়, পাশারুল আলম, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, ছোটন দাস, তায়েদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রেস বিবৃতিতে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়, “যেভাবে মানুষে মানুষে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণসংগঠন মিলিতভাবে দেশব্যাপী ‘নফরত ছোড়ো সংবিধান বাঁচাও অভিযান’ কর্মসূচি পালন করছে। এই অভিযান সূত্রেই পশ্চিমবঙ্গেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ‘নফরত ছোড়ো সংবিধান বাঁচাও অভিযান’ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার বাবরি মসজিদের ধ্বংস ও বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার হাজরা মোড় থেকে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত এক বিশাল পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। এরই ধারবাহিকতায় এই আলোচনা সভা থেকে জানানো হয়, আগামীকাল অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর বর্ধমান জেলার রূপনারায়ণপুর থেকে চিত্তরঞ্জন পর্যন্ত একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল তিনটের সময় আসানসোলে একটি জনসভার মাধ্যমে তিন দিনের এই কর্মসূচি পরিসমাপ্তি হবে।
এই কর্মসূচিতে যে সমস্ত সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে, সেগুলো হল- এনএপিএম, স্বরাজ অভিযান, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, বন্দি মুক্তি কমিটি, পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি, দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম, ট্রান্সফার্ড এরিয়া সূর্যাপুর অর্গানাইজেশন, আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটি, সিএলডাব্লিউ, সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন, সহমন, আমার সোনার বাংলা, নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন এবং এআইপিএফ। এছাড়াও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন।