আমাদের ভারত,১১ ডিসেম্বর: ইতিহাসের পর ইতিহাস রচনা করছে মোদী সরকার। তিন তালাক, রামমন্দির মামলায় জয়, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে আবার ইতিহাস গড়ল মোদী সরকার। রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। রাজ্য সভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ল ১২৫ এবং বিরুদ্ধে ভোট পড়ল ১০৫।
রাজ্যসভায় এই বিল পাশ করানোকে বিজেপির মাস্টার স্ট্রোক বলছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভায় ধ্বনি ভোটে বিল পাশ হয়ে গেলেও রাজ্যসভা বিল পাশ নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ছিল। কিন্তু বিজেপির চানক্য অমিত শাহের সাজানো গুটিতে মাত হল বিরোধীরা। সারাদিন বিস্তার আলোচনার পর পাশ হয়ে যায় এই বিল।
এদিন বিলের ওপরে আলোচনার সময় বেশ কয়েকজন সাংসদ এই বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন। বিলটি আদৌ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে কিনা তার ওপরেও রাজ্যসভায় ভোটাভুটি হয়। আর এই ভোটাভুটিতে স্পষ্ট হয়ে যায় বিল পাশের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সংখ্যা রয়েছে সরকারের কাছে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পেতে চলেছে মোদী সরকার, কারণ বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর বিপক্ষে ভোট পড়ে ১২৪টি এবং পাঠানোর পক্ষে ভোট পড়ে ৯৯টি।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক’ও ব্রায়েন এই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। কিন্তু যা ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।
লোকসভায় শিবসেনা বিলের পক্ষে ভোট দিলেও রাজ্যসভায় ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি। শিবসেনা ছাড়াও বহুজন সমাজবাদী পার্টিও এই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি।
এর আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ লোকসভায় ধবনী ভোটে পাস হয়েছে। লোকসভায় এই বিলের পক্ষে ৩১১টি এবং বিপক্ষে ৮০টি ভোট পড়েছিল। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা কংগ্রেসের সহযোগিতায় সরকার গড়লেও এই বিল পাসের ক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা গ্রহণ করায় মোদী সরকারের কাজ সহজ করে দেয় বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
এই বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আসা অমুসলিমদের শরনার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।