আমাদের ভারত,১৬ নভেম্বর:১৮ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলবে ১৩ডিসেম্বর পর্যন্ত । এই অধিবেশনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করাতে চাইছে বিজেপি সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই বিলটি পাশ করানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার বলে। তাদের দাবি এই বিল পাস হলে অমুসলিম শরণার্থীদেরভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দিতে কোন সমস্যা থাকবে না। অন্যদিকে এই বিলের বিরোধিতায় অসম সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে শুরু আন্দোলন।
সূত্রে খবর শীতকালীন অধিবেশনেই যাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি আনা যায় তার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে কেন্দ্র। প্রথম মোদী সরকারের আমলে বিলটি পাস করানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই সময় বিরোধীরা নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। একইসঙ্গে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও ছিলনা বিজেপির। সেইজন্য বিলটি পাশ করাতে পারেনি তারা। বিল দিতে বলা হয়েছে ২০১৪র আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় অস্থিরতার কারণে যে সমস্ত হিন্দু, জৈন, খ্রীষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্শী ধর্মাবলম্বীরা ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের শর্ত সাপেক্ষে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দু-তিন দিনের মধ্যেই পাস হয়ে যাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তবে অসাম সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে এই বিলের বিরোধিতার শুরু হয়েছে আন্দোলন। মিছিল সহ একাধিক জায়গায় প্রদর্শীত হয়েছে বিক্ষোভ। অসমের সারা ভারত অসম ছাত্র সংস্থা বা আসুর সঙ্গে অসম যুব ছাত্র পরিষদ, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি ইতিমধ্যেই এই বিল বিরোধ আন্দোলনে সামিল হয়েছে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এনপিপি সুপ্রিমো কনরাড সংমা জানিয়ে দিয়েছেন তারা ক্যাব ( নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) মানবেন না। একই বক্তব্য এম এন এফ শাসিত মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গার।তাযাও ক্যাবের বিরোধিতায় সরব। ত্রিপুরায় বিজেপি জোট শরিক আইপিএফটি আন্দোলনে নেমেছে ক্যাবের বিরোধিতায়।