আমাদের ভারত, ৭ আগস্ট: বৃহস্পতিবার কলকাতায় ‘রেল সিনার্জি সামিট ২০২৫’ শিরোনামে এক সম্মেলন ও ভেন্ডর কানেক্ট প্রোগ্রামের আয়োজন করল সিআইআই পশ্চিমবঙ্গ। এই সম্মেলনের মূল ভাবনা ছিল — রেল ক্ষেত্রকে আরও কার্যকর ও সমন্বিত করা। বি-টু-বি, বি-টু-জি, এমএসএমই এবং শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা ছিল এর লক্ষ্য। পাশাপাশি, সুস্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য উৎসের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা হয়।
ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এ খবর দিয়ে এদিন রাতে জানায়, “অনুষ্ঠানে বহু শিল্পপ্রধান উপস্থিত ছিলেন। শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর (এসএমপি, কলকাতা)-এর চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন বলেন, রেল ও বন্দরের মধ্যে সুসংবদ্ধ সমন্বয় অত্যন্ত প্রয়োজন। এর ফলে, অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে পণ্য পরিবহন আরও দ্রুত ও সহজ হবে। তিনি জানান, গত অর্থবছরে এসএমপি বন্দরে মোট ৬৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য পরিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য রেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের গভর্ণমেন্ট ই-মার্কেটপ্লেস (জিইএম)-এর অতিরিক্ত সিইও ও চিফ সেলার অফিসার অজিত বি চ্যবন বলেন, জিইএম, রেলওয়ে এবং এমএসএমই খাতের মধ্যে একটি কার্যকর সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৬ সালে জিইএম পোর্টালে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৪২০ কোটি টাকা। ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ লক্ষ কোটি টাকায়। এর মধ্যে প্রায় ৩৭ শতাংশ অবদান এসেছে এমএসএমই খাত থেকে।
চ্যবন আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমএসএমই-র দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৮,০০০টি এমএসএমই সংস্থা জিইএম পোর্টালে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এতে বোঝা যায়, রাজ্যের এমএসএমই খাতে বিপুল সম্ভাবনা এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
ব্রেথওয়েট অ্যান্ড কোং-এর ব্যবস্থাপনার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মঃ আসাদ আলম বলেন, ভারতে বর্তমানে ৩০টি ওয়াগন প্রস্তুতকারক সংস্থা আছে। এর মধ্যে আটটি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। তিনি বলেন, রাজ্যটি ধীরে ধীরে রোলিং স্টক শিল্পের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এর পাশাপাশি, গড়ে উঠছে একটি শক্তিশালী আনুষঙ্গিক শিল্প পরিকাঠামোও।