আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৫ অক্টোবর : বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে এবার তলব করা হল ব্যারাকপুর ও টিটাগড় পুরসভার ২ পৌর প্রশাসক যথাক্রমে উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীকে। বুধবার রাতে ওই দুই অভিযুক্তকে জেরা করতে ব্যারাকপুর স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসে বৃহস্পতিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সময় মত সিআইডির জেরার মুখোমুখি হতে ব্যারাকপুর সুকান্ত সদন সংলগ্ন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসে পৌঁছান ২ তৃণমূল নেতা। তাদের জেরা শুরু করেছে সিআইডির তদন্তকারী অফিসাররা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৮ অক্টোবর টিটাগড় থানার সামনে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। সেই ঘটনায় মণীশের বাবা ডা: সিএম শুক্লা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৯ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে প্রধান ২ অভিযুক্ত হিসেবে নাম লেখা হয় টিটাগড়ের পৌর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী এবং ব্যারাকপুরের পৌরপ্রশাসক উত্তম দাসের। দুজনই ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের শীর্ষ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সিআইডির মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুই অভিযুক্ত পৌরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী এবং উত্তম দাস জানায়, তারা নির্দোষ,
সিআইডি তদন্তে তাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা। প্রকৃত অপরাধী গ্রেপ্তার হোক এটাই তারা চান। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাদের।
প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “সিবিআই ডাকলে তার মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।” ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং আগেই বলেছিলেন ব্যারাকপুরে মণীশ হত্যায় তৃণমূলের যোগ আছে। তবে তৃণমূল দাবি করেছে, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে মণীশকে খুন করা হয়েছে। সত্য ঘটনা কি জানতে চায় সকলেই। আপাতত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিআইডি টিম।