হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু মামলায় ৬১ দিনে চার্জশিট পেশ সিআইডির

রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর: রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত। আর তার মধ্যে ১৩ জুলাই নিজের বাড়ির অদূরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। বিধায়কের পকেটের সুইসাইড নোট দেখে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে এবার ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় এই ঘটনার চার্জশিট পেশ করল সিআইডি।

সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত দুজন নিলয় সিনহা ও মেহেবুব আলির বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০৬, ৪২০ ও ১২০বি ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলাতেই এদিন চার্জশিট দিয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই ভোর বেলা হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার হয়। রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াদিঘী গ্রামে বাড়ির কাছেই এক বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার অভিযোগ করে, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেবেন রায় কয়েকদিন আগেই সিপিআই(এম) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এলাকায় জনপ্রিয় বিধায়কের মৃত্যুর খবর শুনেই তাকে দেখতে কয়েক হাজার মানুষ ছুটে আসেন। এলাকায় আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। বিধায়কের স্ত্রী চাদিমা রায় বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। যারা খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আমরা জানাচ্ছি।’ এলাকার মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে রীতিমতো বিক্ষোভ মুখে পড়তে হয় পুলিশকে।

জানা গিয়েছে, জুতো দুজনকেই বিধায়ককে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হত। তাদের থেকে মোটা টাকা ধার করেও দেবেন্দ্রনাথ শোধ করছিলেন না। সেই কারনেই তারা হুমকি দিয়েছিলেন বিধায়ককে। এরপরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বিধায়ক। যদিও বিজেপির দাবি, এলাকায় বিজেপির প্রভাব খর্ব করতেই ওই বিধায়ককে চিরতরে সরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *