রাজেন রায়, কলকাতা , ৬ অক্টোবর: ভরসন্ধ্যায় গাড়ি থেকে নামতেই প্রকাশ্য রাস্তায় ১৫ টি বুলেট ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল টিটাগড় পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর তথা এলাকার জনপ্রিয় তরুণ নেতা মণীশ শুক্লার দেহ। সোমবার সারা রাজ্য-রাজনীতি এই নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেই ব্যারাকপুর এলাকা থেকে খুনে জড়িত অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ খুররম এবং গুলাব শেখ। এদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরে মণীশকে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি সিআইডির। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি।
সিআইডি তদন্তকারীদের দাবি, পুরো ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল মহম্মদ খুররম। ব্যক্তিগত আক্রোশে মণীশকে খুনের ছক কষে সেই পেশাদার শুটার গুলাব শেখকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দু’টি বাইককে চিহ্নিত এবং একজন আততায়ীকে শনাক্ত করা গিয়েছিল। পরে ফুটেজের সূত্র ধরেই খোঁজ পাওয়া যায় খুররমের। জেরা করে তার কাছ থেকে হদিশ মেলে গুলাব শেখের। একমাস ধরে মণীশের গতিবিধির ওপর নজর রেখে নিখুঁত পরিকল্পনা করে তবেই এই খুন করা হয়েছে, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের।
এমনকি মণীশের কাছে যে তাঁর লাইন্সেস পিস্তল পর্যন্ত আত্মরক্ষার জন্য ছিল না, সে কথাও জানত। মণীশ ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন, দেহরক্ষী না থাকলে আগে মণীশ নিজের লাইসেন্সড পিস্তল সঙ্গে রাখতেন। কিন্তু মণীশের সঙ্গীদের দাবি, মণীশের পিস্তলের লাইন্সেস ভিন রাজ্য থেকে ইস্যু হওয়ায় ছ’মাস আগে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে তাঁর লাইন্সেস যাচাই করার জন্য পিস্তল পুলিশের কাছে জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে সুযোগ বুঝেই খুন করা হয়েছে মণীশকে। গোয়েন্দারা এটাও জানতে পেরেছেন, খুররমের বাবা সিপিএম করতেন, তার হত্যাকাণ্ডেও উঠে এসেছিল মণীশের নাম।