আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা ৩০ অক্টোবর : বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যা কান্ডে সিআইডির জালে ধরা পড়ল আরও ২ শার্প শ্যুটার ল। জানাগেছে তাদের নাম সুজিত রাই এবং রৌশন যাদব। এই দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। ধৃতদের ২ জনেরই বয়স ২৫ এর মধ্যে বলে সিআইডি সূত্রের খবর।
শুক্রবার দুপুরে এই ২ কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে সিআইডি। তবে ধৃতদের এদিন বিচারকের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের টিআই প্যারেডের অনুমতি চেয়ে। ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে শনিবার রৌশন ও সুজিতের টিআই প্যারেড করাতে হবে। এরপর সিআইডি প্রয়োজন মনে করলে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে।
জানা গেছে, মণীশ শুক্লা হত্যা কান্ডের ঘটনায় সিআইডির হাতে এখনও পর্যন্ত ৩ জন শ্যুটার গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে সিআইডির তদন্তে প্রথম থেকেই অনাস্থা প্রকাশ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য বলেন, “সিআইডি সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। ৩ জন শ্যুটার গ্রেপ্তার হলেও এফঅাইঅার যে সব শীর্ষ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে হয়েছে, তারা বহাল তবিয়তে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুজো উদ্বোধন করে বেড়াচ্ছে। এরা ধরা না পড়লে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া মুশকিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, মণীশ শুক্লা হত্যা কান্ডের ঘটনায় টিটাগড় ও ব্যারাকপুর পৌরসভার ২ প্রশাসকের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে। একদিন এই ২ তৃণমূল নেতাকে সিআইডির পক্ষ থেকে ডেকে সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, মানুষ হত্যায় মূল ষড়যন্ত্রকারী এই ২ তৃণমূল নেতা। যদিও এই দুই পৌর প্রশাসক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তাদের নাম অভিযোগের তালিকায় দিয়ে দিয়েছে।
সিআইডি সূত্র অনুসারে জানা গেছে, তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। এখনও পর্যন্ত সিআইডি এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জন কুখ্যাত শ্যুটার ছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে টিটাগড় অঞ্চলের ব্যবসায়ী খুররম খানকে। ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে সিআইডি একটি নাইন এমএম বন্দুক পেশ করেছে।
জানা গেছে, মণীশ খুনের ঘটনায় মোট ৬জন শ্যুটার ভাড়া করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর। বাকিরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবে বলে সিআইডি সূত্র জানিয়েছে। বর্তমানে ধৃত সুজিত রাই ও রৌশনকে
টিআই প্যারেডের পর গ্রেপ্তার করে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে চলতি মাসের ৪ তারিখে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে সিআইডি তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।