আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১২ জুলাই: গভীর রাত পর্যন্ত নাটকের পর শেষ হাসি হাসলো বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়। তিনি হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়কে। এই ফলাফল মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ির প্রতি অনাস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৫ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন পম্পা মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রাম। ওই গ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন পম্পাদেবী। প্রথম থেকেই তাকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নেয়নি গ্রামবাসীরা। কিন্তু উপরওয়ালার প্রভাব খাটিয়ে প্রার্থী হন পম্পা। তার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যার দিকে গণনা কেন্দ্রে রটিয়ে দেওয়া হয় ৬ ভোট জয়ী হয়েছেন পম্পাদেবী। এরপরেই তিনি গ্রামে ফিরে আনন্দে মাতেন। কিন্তু সেই হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গভীর রাতে জানতে পারেন তিনি বিজেপির কাছে ৩৬ ভোট পরাজিত। পুনঃগণনার দাবি জানাতে তিনি দলবল নিয়ে ভোট গণনা কেন্দ্রে যখন পৌঁছন ততক্ষণে জয়ের সংসাপত্র বিজেপি প্রার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পম্পাদেবী বলেন, “আমি ৬ ভোট জিতেছিলাম। কিভাবে হারলাম বুঝতে পারছি না”।
সুদেষ্ণাদেবী বলেন, “মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ওরা জয়ের কথা রটিয়েছিল। কিন্তু মানুষ আমার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাই শেষ গণনায় আমি জয়ী হয়েছি”।
শুধু পঞ্চায়েত সমিতি নয়, কুসুম্বা গ্রামে তিনটি পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে দুটিতে হেরেছে তৃণমূল। এই পরাজয় প্রমাণ করতে চলছে মুখ্যমন্ত্রীর মামার গ্রাম থেকে ফিকে হতে শুরু করেছে সবুজ।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “এই পরাজয় নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব”।
বিজেপি নেতা শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “এক সময় মামার বাড়ি কি ছিল সেটা সবাই জানেন। ওই গ্রামে সব থেকে বেশি উন্নয়ন হয়েছে মামার বাড়ির। তাই মানুষ ওদের ছুড়ে ফেলেছে”।

