Shamik, BJP, ভোটার তালিকা সংশোধনে বিএলওদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যসভায় সরব শমীক ভট্টাচার্য

আমাদের ভারত, ১ আগস্ট: তৃণমূল সহ বিরোধীদের
স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরির বিরোধিতা করা যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে দাবি করলেন শমীক ভট্টাচার্য। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিএলওদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শমীক ভট্টাচার্য। অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে এই কাজ করেছে তৃণমূল বলে তাঁর দাবি। তাঁর বক্তব্য, এটা শুধু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিপদে ফেলছেন তাই নয়, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করছে।

আগস্টেই বাংলায় শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এই পরিস্থিতিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত বুথ লেভেল অফিসারদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যসভায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাজে হুমকি দিয়ে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হচ্ছে। এই মর্মে রাজ্যসভায় মুলতবি প্রস্তাব জমা দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যসভায় আলোচনা আছে বলে নোটিশ দেন তিনি।

সেই নোটিসে শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন,প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আধিকারিকরা শুধু রাজ্য সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। এটা নির্বাচন কমিশনের মত স্বশাসিত সংস্থার সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসনের উপর সরাসরি আঘাত।

এই বিরোধিতা যথেষ্ট সন্দেহজনক হলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর কথায়, এটা শুধু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিপদে ফেলছে না, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলছে।

দ্রুত এটা নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বাংলায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে তদন্ত দরকার। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নিশ্চিত করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের শায়ত্ব শাসন রক্ষা করা দরকার।

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী বিএলওদের উদ্দেশ্যে বলেছেন,আপনারা বিএলওরা যেসব লিস্ট করছেন, বিএলওদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, ভোটার লিস্ট থেকে কারো নাম যেন বাদ যেন যায় সেটা দেখার। এটা মনে রাখবেন, আপনারা চাকরি করেন রাজ্য সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *