সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৯ ডিসেম্বর: এসআইআর এবং জেলায় এক বিএলও’র আত্মহত্যার ঘটনার আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর বড়জোড়ায় আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও সব রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি শুরু করেছে। এরই মধ্যে আগামীকাল বছরের শেষ লগ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ায় এসে জনসভা করবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে এই জনসভা কার্যত নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা।
এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে এসআইআর- এর শুনানি শুরু হয়েছে। তার উপরে বিএলও’র আত্মহত্যার ঘটনার সাথে সাথে রবিবার বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহল রানীবাঁধে এক বিএলও’র আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এই আবহে তৃণমূল সুপ্রিমো দলীয় কর্মীদের কী নির্দেশ দেন সে দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও জেলার শিল্পতালুকে
তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি যে ক্রমশ শুধু শক্তিশালী হচ্ছে তাই নয়, শ্রমিক মহলেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। বড়জোড়ায় সভার আয়োজন করে শিল্প মহল ও শ্রমিক মহলে আরো সংগঠিত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় বারোটি আসনের মধ্যে বিজেপি আটটিতে জয়ী হয়। পরবর্তী কালে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালি প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে দলনেত্রী কী নিদান দেন তা নিয়ে উদগ্রীব কর্মীরা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল বড়জোড়ায় বীরসিংহ ময়দানের মঞ্চ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক অলোক মুখার্জি, মহিলা নেত্রী অলকাসেন মজুমদার সহ দলীয় নেতৃত্ব। ১২০ ফুট চওড়া স্টেজের সামনে ব্যরিকেড, ভিআইপি বক্স, সাংবাদিকদের বক্স সহ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়।
সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আগামীকালের জনসভায় এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে, এরজন্য আটশো বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা ছাড়াও দুই বর্ধমান থেকেও লোক আসবে।
অপরদিকে তৃণমূলের জনসভা মানেই অঘোষিত হরতাল, বাস থেকে সমস্ত যানবাহন বন্ধ, কেন না দলীয় কর্মীদের পরিবহনের জন্য জেলার সমস্ত বাস চলে যায় দলের হাতে। এরজন্য কপালে চিন্তার ভাঁজ নিত্যযাত্রীদের।

