আমাদের ভারত, ২৬ মে: রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাত সম্ভবত এবার চরমে উঠতে চলেছে। রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রী বসতে পারেন রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের আসনে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই জল্পনা শোনা গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়ে গেল রাজ্যপালের বদলে পদাধিকার বলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের পদে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে বিধানসভায় আইন পাস করতে হবে। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে ২০১০ সালে পুঞ্চি কমিশন এই ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই কমিশনের সদস্য ছিলেন বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ব্রাত্য বসু বলেন, পদাধিকার বলে রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হন রাজ্যের রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে পদাধিকার বলে আচার্য হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার আগে বিধানসভায় এই বিষয়ে বিল পাস করানো হবে।
সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে তামিলনাড়ুর সরকার। আচার্যের জায়গা থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে স্ট্যালিন সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করেছে। এবার এই পথে এগিয়ে গেল বাংলাও।
শিক্ষা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক নানা ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসযোগিতার অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার। পাল্টা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল। এবার দেখার মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার ব্যাপারে এই প্রস্তাব অনুমোদন করার ক্ষেত্রে ধনখড় কি পদক্ষেপ করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য স্থানে বসানো যায় সে বিষয়ে সরকার আগেই তোড়জোড় শুরু করেছে তার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দিয়েছিলেন। এবার সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো রাজ্য মন্ত্রিসভাতে। সূত্রের খবর, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বারবার মতবিরোধ হয়েছে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্যের তরফের নাম প্রস্তাব করা হলেও তাতে সই করেননি রাজ্যপাল। সম্প্রতি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজভবনে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীও। তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষাসচিব। সম্ভবত সেখানেও কোনো রফা সূত্র না বের হওয়ায় এই পদক্ষেপ করল মমতার মন্ত্রিসভা।